স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনগনের ভালবাসা ও আস্থা নিয়ে বরিশাল ৫ এর গুরুত্বপূর্ন আসনটি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন যুববন্ধু কেন্দ্রীয় নেতা আরিফিন মোল্লা। ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ নেতার মনোনয়ন নিয়ে শতভাগ আশাবাদী বরিশাল সদরের ৫ আসনের সাধারণ জনগন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচীতে নজড়কাড়া কর্মসূচী গ্রহণ করে বরিশালে বেশ আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিক্ষানূরাগী আরিফিন মোল্লা। বিভিন্ন কর্মসূচীর নজড় কেড়েছেন অনেক সিনিরদের কাছেও। সাধারণ মানুষের আস্থাভাজন যুববন্ধু আরিফিন মোল্লা। বরিশাল ৫ আসনের জনসাধারণ সকলেই চায় আরিফিন মোল্লা যেনো মনোনয়ন পান। আরিফিন মোল্লা এবারই প্রথম বরিশালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনে স্মরণকালের সর্ববৃহত আয়োজন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের এই নেতার হয়ে ইতিমধ্যে দলীয় কর্মসূচী ও শোডাউনে অংশ নিচ্ছেন বরিশালের বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আর এসব নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগই হলো তরুণ প্রজন্ম। শুধু দলীয় কার্যক্রমই নয় সমগ্র বরিশালে দানবীর আরিফিন মোল্লার সহযোগীতায় ইতিমধ্যে হাঁসি ফুটে এসেছে অনেক দুঃস্থ পরিবারের মাঝে। সদর উপজেলার কালিজিরা এলাকার বৃদ্ধা মুনসুর আলী বলেন, ‘আমি গরীব মানুষ, চিকিৎসার জন্য আমি কোথাও সহযোগীতা না পেয়ে আরিফিন মোল্লার কাছে গেছি কিন্তু সেখান থেকে আমাকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়নি।” শুধু মুনসুর আলীই নয় এরকম অনেক মানুষের নতুন গল্প তৈরি করতে সহযোগীতা করেছেন দানবীর এই আরিফিন মোল্লা। বরিশাল বিভাগের ২১সংসদীয় আসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত বরিশাল-৫(সদর)। আসনটিতে ১৯৭৯ সাল থেকে বিএনপি প্রার্থীরা এ টানা বিজয়ী হয়ে আসছেন। কেবল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি এ্যাডভোকেট শওকত হাসেন হিরণ বিজয়ী হন। অবশ্য সে নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিল। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল হিরণের মৃত্যুর পর একই বছরের ১৫ জুনের উপ-নির্বাচনে বিএনএফের সাইফুজ্জামান লিটনকে হারিয়ে এমপি হন হিরণের স্ত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ। তবে এসব পরিসংখ্যানে বিচলিত নয় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। জানা যায়, বরিশালের এই আসনটিতে নৌকার টিকিট নিয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, শিক্ষানূরাগী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা আরিফিন মোল্লা। আওয়ামীলীগের মনোনায়ন প্রত্যাশী এই নেতা ইতিমধ্যে নিজের রাজনৈতিক ভিত্তি খুব শক্তভাবেই তৈরি করতে ইতিমধ্যে সক্ষম হয়েছেন। আরিফিন মোল্লা এই দৈনিক দখিনের খবরকে বলেন, “আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিস¦াসী। তিনি জনগনের পাশে ছিলেন, তিন জনগনের নেতা। আমি তার এই আদর্শকে বুকে ধারন করেই মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচন নিয়ে এই নেতা বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনায়ন দেয় তাহলে ইনশআল্লাহ নেত্রীকে আমি এই আসনটি উপহার দিতে পারবো।” আরিফিন মোল্লা আরও বলেন, “আমি যদি জনপ্রতিনিধি হতে পারি তাহলে বৃহত্ত্বপরিসরে বরিশালের মানুষের জন্য কাজ করবো আর যদি না হই তাহলে এখন নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেভাবে সাধারন মানুষের কাজ করি সেভাবে কাজ করে যাবো।” দলীয় সূত্র জানা যায়, প্রবীণ নেতাদের চেয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী প্রচারণা চালিয়ে সাধারন ভোটার থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আলোচনার অগ্রভাবে রয়েছেন আরিফিন মোল্লা। বরিশালের একাধিক তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানায়, “আমরা বরাবরই বরিশাল সদরের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতার্মীরা অবহেলিত। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবেদন করবো যেন দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলে নব-নির্বাচিত মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর মতো তরুণ একজন রাজনীতিবীদকে এ আসনের দলীয় টিকিট দেয়। আমরা মনে করি সাদিক আব্দুল্লাহর মতো কোন তরুণ নেতা আমাদের অবহেলিত এই আসনটিতে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিতে পারবে।” এদিকে গত ১৫ আগস্ট উপলক্ষে নগরীর চৌমাথায় মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদের (বীর বিক্রম) উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর বিশালাকায় ছবি সম্বলিত একটি বিলবোর্ড টানানো হয়েছিল। ২৯আগষ্ট সকালে তা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছিড়ে পড়ে। ওই দিন সন্ধ্যারাতে ওই পথ দিয়ে আরিফিন মোল্লা তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার দৃষ্টি পড়ে বিধ্বস্ত ওই বিলবোর্ডের দিকে। তিনি তাৎক্ষণিক গাড়ি থেকে নেমে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন বিলবোর্ডটি যথাস্থানে বসিয়ে দিতে। ওই বিলবোর্ডের অবকাঠামোগত কিছু ক্ষয়ক্ষতিও তিনি সংস্কার করেন। এসময় নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে কাজের তদারকি করতে দেখা যায়। সেখানে থাকা নিজের বিলবোর্ড অপেক্ষা তারই ঘরোয়া প্রতিদ্বন্দী মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদের বিলবোর্ডটি আরো মজবুত করে সেটে দেন। এই ঘটনা দেখার জন্য মুহূর্তের মধ্যে সেখানে শত শত লোকের ভীড় জমে। আরিফিন মোল্লা বলেন, দক্ষিণবঙ্গ সর্বদাই আওয়ামীলীগের ঘাটি। দক্ষিণবঙ্গের সিংহপুরুষ আমার রাজনৈতিক গুরু আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এর নেতৃত্বে বরিশাল ৫ আসনে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছি। ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমৃত্যু তাদের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছেÍ এটি অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তিনি ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। এই অর্জন ধরে রাখতে হলে, আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনতে হবে। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে অবশ্যই আমি এই আসনটি জননেত্রীকে উপহার দিব। পাশাপাশি বরিশাল- ৫ আসনকে একটি ডিজিটাল ও ১ম শ্রেণীর এলাকায় রূপান্তরিত করব। ডিজিটাল তথ্য বিপ্লব এ বরিশালকে এগিয়ে রাখতে একটি আইটি পার্কসহ নেত্রীর ২০৪১ এ মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নপূরণে লক্ষ্যে তার হাতকে তরান্বিত করতে কাজ করে যাব।
Leave a Reply